বিশ্ববাজারে প্রায় দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার পর অবশেষে আজ কমেছে স্বর্ণের দাম। বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে সোনার দামে পতন লক্ষ্যে করা গেছে। একই সঙ্গে বাজারে রুপার দামও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা এখন ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করছেন। স্পট স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ০.২ শতাংশ কমে ৪ হাজার ১৫৪.২৭ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। মার্কিন ফিউচারে ডিসেম্বর ডেলিভারির স্বর্ণের দাম ০.৪ শতাংশ কমে ৪ হাজার ১৫০.৪০ ডলার হয়েছে। জুলিয়াস বায়ার অ্যানালিস্ট কার্সটেন মেনকে বলেছেন, অক্টোবরের ক্ষতির পর শুরু হওয়া সংহতি এখনও চলবে, কারণ সেই ক্ষতির প্রভাব পুরোপুরি কমেনি। তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ধীরগতি, কম সুদের হার, দুর্বল ডলার, নিরাপদ-হেভেন চাহিদা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রমাগত ক্রয়ই স্বর্ণের বাজারের পক্ষে মূল সুবিধা।

স্বর্ণের দাম অক্টোবর ২০ তারিখে রেকর্ড ৪ হাজার ৩৮১.২১ ডলার স্পর্শ করার পর থেকে ৫ শতাংশ কমেছে, তবে মূল ৪ হাজার প্রতি আউন্সের স্তরের উপরে লেনদেন হচ্ছে। ট্রেডাররা এখন ডিসেম্বরে মার্কিন সুদের হ্রাসের ৮৫ শতাংশ সম্ভাবনা মূল্যায়ন করছেন, যা এক সপ্তাহ আগে মাত্র ৩০ শতাংশ ছিল। ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সময়সূচি নিয়ে বিভক্ত সংকেত হেজিং প্রবাহে বৃদ্ধি করেছে। কেভিন হ্যাসেট, যিনি জেরোম পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সম্ভাব্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একমত হয়ে সুদের হার কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এছাড়াও সান ফ্রান্সিসকো ফেড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মেরি ডালি এবং ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের মন্তব্যও হারের কাটা সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি অন্যান্য মূল্যবান ধাতুতে প্রভাবের ছবি মিশ্র। স্পট সিলভার ০.২ শতাংশ কমে ৫৩.২৪ ডলার, প্ল্যাটিনাম ০.৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬০১.৯৫ ডলার, আর প্যালাডিয়াম ০.২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪২৬.৩০ ডলারে পৌঁছেছে।

বর্তমানে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকা।