Hi

০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারের দায়িত্ব কেউ যদি কেবল ‘দায়সারা’ভাবে পালন করতে চান, তবে তাদের জন্য “মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, “কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব শেষ করে বিদেশে চলে যেতে চান। কিন্তু অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার যদি এমন চিন্তা থেকে পরিচালিত হয়, তাহলে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না। এত রক্ত, এত আত্মত্যাগের পর যদি এভাবে দায়িত্ব নেওয়া হয়, তাহলে তারা দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবে না।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা এমন চিন্তা করেন, তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাক, বাংলাদেশের মানুষ তাদের খুঁজে বের করবে।”

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই ভোটে অংশ নেবে। এ প্রতীকে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে দাবি করেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এনসিপির এই নেতা। তার মতে, “নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করা উচিত, কোনো পক্ষের চাপে নয়।

এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে, নাকি জোটবদ্ধভাবে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সারজিস আলম জানান, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জনগণের স্বার্থে যদি অন্য কোনো দলের সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, সেটিও বিবেচনা করা হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভালো মানুষরা চাইলে নতুন রাজনৈতিক দল করতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেকোনো রূপ বা ভার্সন অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি তা কখনোই মেনে নেবে না।”

সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিয়েও তিনি মত দেন। সারজিস আলম বলেন, “তারেক রহমান যে বেদনার কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাস্তবতা। তার মায়ের প্রতি নির্যাতন, পরিবারের ওপর আঘাত—এসব আমাদের কাছেও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা চাই, ভবিষ্যতে এমন নির্যাতন আর না ঘটে এবং এসব অপরাধের বিচার হোক।

তিনি আহ্বান জানান, “যারা আওয়ামী লীগের হয়ে এমন নিপীড়নে জড়িত ছিল, তাদের যেন কোনোভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় বা সুযোগ দেওয়া না হয়। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও এসব অপরাধীরা যেন মাফ না পায়।

নওগাঁয় আয়োজিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই

আপডেট : ১১:০৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, শহীদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারের দায়িত্ব কেউ যদি কেবল ‘দায়সারা’ভাবে পালন করতে চান, তবে তাদের জন্য “মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, “কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব শেষ করে বিদেশে চলে যেতে চান। কিন্তু অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার যদি এমন চিন্তা থেকে পরিচালিত হয়, তাহলে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না। এত রক্ত, এত আত্মত্যাগের পর যদি এভাবে দায়িত্ব নেওয়া হয়, তাহলে তারা দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবে না।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা এমন চিন্তা করেন, তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাক, বাংলাদেশের মানুষ তাদের খুঁজে বের করবে।”

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই ভোটে অংশ নেবে। এ প্রতীকে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে দাবি করেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এনসিপির এই নেতা। তার মতে, “নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়েও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করা উচিত, কোনো পক্ষের চাপে নয়।

এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে, নাকি জোটবদ্ধভাবে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সারজিস আলম জানান, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জনগণের স্বার্থে যদি অন্য কোনো দলের সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, সেটিও বিবেচনা করা হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভালো মানুষরা চাইলে নতুন রাজনৈতিক দল করতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেকোনো রূপ বা ভার্সন অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি তা কখনোই মেনে নেবে না।”

সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিয়েও তিনি মত দেন। সারজিস আলম বলেন, “তারেক রহমান যে বেদনার কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাস্তবতা। তার মায়ের প্রতি নির্যাতন, পরিবারের ওপর আঘাত—এসব আমাদের কাছেও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা চাই, ভবিষ্যতে এমন নির্যাতন আর না ঘটে এবং এসব অপরাধের বিচার হোক।

তিনি আহ্বান জানান, “যারা আওয়ামী লীগের হয়ে এমন নিপীড়নে জড়িত ছিল, তাদের যেন কোনোভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় বা সুযোগ দেওয়া না হয়। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও এসব অপরাধীরা যেন মাফ না পায়।

নওগাঁয় আয়োজিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।