ভারতের সঙ্গে সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে স্বাক্ষরিত ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে— যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এমন দাবি ‘সত্য নয়’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কেবল একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে, বাকিগুলো পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যে তালিকাটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সত্য নয়, শুধু একটি ছাড়া। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসই-এর সঙ্গে ট্যাগ বোট সরবরাহ চুক্তিটিই কেবল বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা চুক্তি এখনো বহাল আছে। ২০২২ সালে স্বাক্ষর হওয়া সমঝোতা স্মারকও বিদ্যমান। আদানি বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি পুনর্বিবেচনা চলছে, এখনো কোনো নতুন সিদ্ধান্ত হয়নি।” তৌহিদ হোসেন মনে করেন, এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার আগে যাচাই করা উচিত ছিল। “উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ চাইলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য না করলেও পারতেন,” যোগ করেন তিনি।

এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে স্বাক্ষরিত ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি পুনর্বিবেচনায় আছে। তিনি সেই পোস্টে চুক্তিগুলোর একটি তালিকাও প্রকাশ করেন, যার মধ্যে ছিল ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ, আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন, মিরসরাই ও মোংলায় ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ কয়েকটি প্রকল্প।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তিগুলো বাতিল নয়, বরং কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বেশিরভাগ সমঝোতা স্মারক এখনো কার্যকর রয়েছে এবং এসব বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা চলছে।