Hi

০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উত্থান

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সম্প্রতি বড় উত্থান এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রোববার (৫ অক্টোবর) দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ ৩১৫০২ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন বা ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৬৬২৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগে জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং আগস্টে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বৈধভাবে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, যা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে বরং ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনা সম্ভব হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আর ২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশের রিজার্ভ ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য। ২০১৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রিজার্ভ প্রথমবার ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। এরপর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। তবে পরবর্তীতে ডলার সংকট ও অন্যান্য প্রভাবের কারণে রিজার্ভ কমতে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমতুল্য রিজার্ভ ধরে রাখতে সক্ষম। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবাসী আয়, রফতানি, বিদেশি বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ঋণ থেকে আসা ডলার মূলত রিজার্ভে যুক্ত হয়। অন্যদিকে, আমদানি খরচ, ঋণ পরিশোধ ও বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা দিয়ে রিজার্ভের ব্যয় হয়। চলমান প্রবাহের কারণে বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উত্থান

আপডেট : ০৯:৫৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সম্প্রতি বড় উত্থান এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রোববার (৫ অক্টোবর) দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ ৩১৫০২ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন বা ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৬৬২৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগে জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং আগস্টে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বৈধভাবে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, যা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে বরং ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনা সম্ভব হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আর ২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশের রিজার্ভ ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য। ২০১৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রিজার্ভ প্রথমবার ৪০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। এরপর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। তবে পরবর্তীতে ডলার সংকট ও অন্যান্য প্রভাবের কারণে রিজার্ভ কমতে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমতুল্য রিজার্ভ ধরে রাখতে সক্ষম। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবাসী আয়, রফতানি, বিদেশি বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ঋণ থেকে আসা ডলার মূলত রিজার্ভে যুক্ত হয়। অন্যদিকে, আমদানি খরচ, ঋণ পরিশোধ ও বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা দিয়ে রিজার্ভের ব্যয় হয়। চলমান প্রবাহের কারণে বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।