Hi

০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনার ছয় কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগ হাজারো মানুষের

নেত্রকোনা জেলা সদরের মাত্র ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক বছরের পর বছর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। সংস্কারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় দুর্ঘটনা, যানবাহনের ক্ষতি ও চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে সদর উপজেলার সাতপাই চাঁনখার মোড় থেকে হাটখলা বাজার ভায়া মৌগাতি ইউনিয়ন পর্যন্ত এই সড়কটির মধ্যে ১ দশমিক ১ কিলোমিটার অংশ নেত্রকোনা পৌরসভার আওতাধীন। দুই প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েনে সড়কটির উন্নয়নকাজ দীর্ঘদিন উপেক্ষিত। অথচ সড়কটির পাশে সাতপাই, বরশিকুড়া, কুনিয়া, কাঞ্চনপুর, হাটখলা ও মৌগাতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও স্থাপনা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াদ, ফজলে রাব্বিসহ ভুক্তভোগীরা জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মৌগাতি ইউনিয়ন ছাড়াও জেলার পূর্বধলা ও দুর্গাপুর উপজেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। বর্ষায় খানাখন্দ ও কাদায় চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়ে। অহরহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং রিকশাসহ যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। স্থানীয়রা ইটের খোয়া ফেলে সাময়িক সমাধানের চেষ্টা করলেও সার্বিক ভোগান্তি কমছে না।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় মোট সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৯০ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা সড়ক ৭২৫ কিলোমিটার, কার্পেটিং ২৪৭ কিলোমিটার, হেরিংবন্ড ১৬ কিলোমিটার এবং আরসিসি পাকা সড়ক রয়েছে মাত্র দেড় কিলোমিটার।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “উদ্যোগ নেই এমন না, উদ্যোগ আছে। তবে অর্থের বরাদ্দ কম থাকায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করা হয়। একটি সড়ক একবার মেরামতের পর তিন বছরের আগে আর করা হয় না। এখানে দুটি অংশ রয়েছে, একটি পৌরসভার। সেই অংশটি করার জন্য ডিডিএলজিকে বলা হয়েছে। ভালো ঠিকাদার পাওয়া গেলে আশা করা যাচ্ছে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুমোদন হবে।”

পৌর প্রশাসক ও ডিডিএলজি মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, “প্রকল্প প্রণয়ন চলছে। বিষয়টি ভিজিট করে দেখা হবে। প্রকল্পে দিলে প্রকল্পে, না হলে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পৌরসভার আওতায় কোনো সড়ক জরাজীর্ণ অবস্থায় ফেলে রাখা হবে না। ইতোমধ্যে ৫টি সড়কের কাজ চলমান।”

নেত্রকোনার ছয় কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগ হাজারো মানুষের

আপডেট : ০২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

নেত্রকোনা জেলা সদরের মাত্র ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক বছরের পর বছর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। সংস্কারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় দুর্ঘটনা, যানবাহনের ক্ষতি ও চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে সদর উপজেলার সাতপাই চাঁনখার মোড় থেকে হাটখলা বাজার ভায়া মৌগাতি ইউনিয়ন পর্যন্ত এই সড়কটির মধ্যে ১ দশমিক ১ কিলোমিটার অংশ নেত্রকোনা পৌরসভার আওতাধীন। দুই প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েনে সড়কটির উন্নয়নকাজ দীর্ঘদিন উপেক্ষিত। অথচ সড়কটির পাশে সাতপাই, বরশিকুড়া, কুনিয়া, কাঞ্চনপুর, হাটখলা ও মৌগাতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও স্থাপনা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াদ, ফজলে রাব্বিসহ ভুক্তভোগীরা জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মৌগাতি ইউনিয়ন ছাড়াও জেলার পূর্বধলা ও দুর্গাপুর উপজেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। বর্ষায় খানাখন্দ ও কাদায় চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়ে। অহরহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং রিকশাসহ যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। স্থানীয়রা ইটের খোয়া ফেলে সাময়িক সমাধানের চেষ্টা করলেও সার্বিক ভোগান্তি কমছে না।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় মোট সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৯০ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা সড়ক ৭২৫ কিলোমিটার, কার্পেটিং ২৪৭ কিলোমিটার, হেরিংবন্ড ১৬ কিলোমিটার এবং আরসিসি পাকা সড়ক রয়েছে মাত্র দেড় কিলোমিটার।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “উদ্যোগ নেই এমন না, উদ্যোগ আছে। তবে অর্থের বরাদ্দ কম থাকায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করা হয়। একটি সড়ক একবার মেরামতের পর তিন বছরের আগে আর করা হয় না। এখানে দুটি অংশ রয়েছে, একটি পৌরসভার। সেই অংশটি করার জন্য ডিডিএলজিকে বলা হয়েছে। ভালো ঠিকাদার পাওয়া গেলে আশা করা যাচ্ছে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুমোদন হবে।”

পৌর প্রশাসক ও ডিডিএলজি মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, “প্রকল্প প্রণয়ন চলছে। বিষয়টি ভিজিট করে দেখা হবে। প্রকল্পে দিলে প্রকল্পে, না হলে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পৌরসভার আওতায় কোনো সড়ক জরাজীর্ণ অবস্থায় ফেলে রাখা হবে না। ইতোমধ্যে ৫টি সড়কের কাজ চলমান।”