Hi

০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পল্লবীতে দূর্ধর্ষ চুরি

১০ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট

  • রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট : ০৯:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ৩৪৪ জন দেখেছে

পল্লবী প্রতিনিধি : রাজধানীর ব্যস্ত এলাকা মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা। দিনের বেলা, সবার চোখের সামনে ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে ১০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ও নগদ অথ লুটে নেয় চোরের দল। মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ব্লক বি, রোড ১২, লাইন ৭-এ গত ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে এই দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী নাজমা রহমান ঘটনার সময় পাসপোর্ট অফিসে অবস্থান করছিলেন। নাজমা রহমান জানান, গত ২৯ জুন তিনি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় তার ফ্ল্যাটে কেউ ছিলো না। দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে বাসায় ফিরেই তিনি ছোট ভাই আশরাফকে নিয়ে দেখেন, তার ফ্ল্যাটের প্রধান দরজারসহ অনান্য দরজার তালা, স্টিলের আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন তালা ভাঙা এবং ঘরের সমস্ত কিছু এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। পরে তার ছোট ভাই আশরাফকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, ঘর থেকে চুরি হয়েছে নগদ ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, সাত ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার এবং দুইটি মূল্যবান জমির দলিল। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে রয়েছে, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের লকেট, এক ভরি চারা আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণের নেকলেস, এক জোড়া কানের দুল, একটি আংটি, এক জোড়া চুড়ি, এক জোড়া রুলিবালা। চুরি হওয়া এই সম্পদের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বলে ভুক্তভোগী জানান।

আরো পড়ুন : অপ্রতিরোধ্য পল্লবীর মাদক সাম্রাজ্য

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী নাজমা রহমান জানান যে, উক্ত ফ্ল্যাটটি তিনি বছর দেড়েক আগে ১০ লক্ষ টাকায় বন্ধক নিয়েছিলেন বাড়ির মালিক বাবুর কাছ থেকে। চুরির ঘটনায় তিনি সরাসরি বাড়ির মালিকের ছোট ভাই বাপ্পিকে সন্দেহ করছেন। তার দাবি, এই বাপ্পি পূর্বেও বিপরীত পাশের ফ্ল্যাটে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা বাপ্পির একাধিক সহযোগীর জানিয়েছে। নাজমা রহমান ঘটনার পরদিন, ১ জুলাই ২০২৫, পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ০১। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, বাড়ির মালিক বাবু তার ছোট ভাই বাপ্পিকে দিয়ে এমন অনৈতিক কাজ করিয়ে থাকেন, এবং এ ধরনের অভিযোগ অতীতেও স্থানীয়ভাবে উঠেছে। বতমানে এই এলাকায় এরকম ঘটনা প্রায় দিনই ঘটছে বলেও জানান তারা। অবশ্য এই চুরির ঘটনায় পল্লবী থানা পুলিশকে সেইভাবে গুরুত্ব সহকারে তদন্তের কোন লেশ বালাইয়ে চিহ্ন পাওয়া যায়নি বা অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করেনি পুলিশ।

© All rights reserved © Dikdarshon.net
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Meghna Host

পল্লবীতে দূর্ধর্ষ চুরি

১০ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট

আপডেট : ০৯:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

পল্লবী প্রতিনিধি : রাজধানীর ব্যস্ত এলাকা মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা। দিনের বেলা, সবার চোখের সামনে ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে ১০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ও নগদ অথ লুটে নেয় চোরের দল। মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ব্লক বি, রোড ১২, লাইন ৭-এ গত ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে এই দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী নাজমা রহমান ঘটনার সময় পাসপোর্ট অফিসে অবস্থান করছিলেন। নাজমা রহমান জানান, গত ২৯ জুন তিনি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় তার ফ্ল্যাটে কেউ ছিলো না। দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে বাসায় ফিরেই তিনি ছোট ভাই আশরাফকে নিয়ে দেখেন, তার ফ্ল্যাটের প্রধান দরজারসহ অনান্য দরজার তালা, স্টিলের আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন তালা ভাঙা এবং ঘরের সমস্ত কিছু এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। পরে তার ছোট ভাই আশরাফকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, ঘর থেকে চুরি হয়েছে নগদ ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, সাত ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার এবং দুইটি মূল্যবান জমির দলিল। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে রয়েছে, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের লকেট, এক ভরি চারা আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণের নেকলেস, এক জোড়া কানের দুল, একটি আংটি, এক জোড়া চুড়ি, এক জোড়া রুলিবালা। চুরি হওয়া এই সম্পদের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বলে ভুক্তভোগী জানান।

আরো পড়ুন : অপ্রতিরোধ্য পল্লবীর মাদক সাম্রাজ্য

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী নাজমা রহমান জানান যে, উক্ত ফ্ল্যাটটি তিনি বছর দেড়েক আগে ১০ লক্ষ টাকায় বন্ধক নিয়েছিলেন বাড়ির মালিক বাবুর কাছ থেকে। চুরির ঘটনায় তিনি সরাসরি বাড়ির মালিকের ছোট ভাই বাপ্পিকে সন্দেহ করছেন। তার দাবি, এই বাপ্পি পূর্বেও বিপরীত পাশের ফ্ল্যাটে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা বাপ্পির একাধিক সহযোগীর জানিয়েছে। নাজমা রহমান ঘটনার পরদিন, ১ জুলাই ২০২৫, পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ০১। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, বাড়ির মালিক বাবু তার ছোট ভাই বাপ্পিকে দিয়ে এমন অনৈতিক কাজ করিয়ে থাকেন, এবং এ ধরনের অভিযোগ অতীতেও স্থানীয়ভাবে উঠেছে। বতমানে এই এলাকায় এরকম ঘটনা প্রায় দিনই ঘটছে বলেও জানান তারা। অবশ্য এই চুরির ঘটনায় পল্লবী থানা পুলিশকে সেইভাবে গুরুত্ব সহকারে তদন্তের কোন লেশ বালাইয়ে চিহ্ন পাওয়া যায়নি বা অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করেনি পুলিশ।