Hi

০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি

শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রমাণ মিলেছে

২২৬টি মামলা হয়েছে, ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া এমন অডিও বক্তব্যের ফরেনসিক প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রুল জারি করেছেন। তদন্ত সংস্থা জানায়, ‘২২৬ টি মামলা হয়েছে মানে ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অডিও রেকর্ডের ফরেনসিক প্রমাণ মিলেছে।

এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগের ওপর শুনানি হয়। এর আগে, শেখ হাসিনার এমন অডিও রেকর্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছিল প্রসিকিউশন টিম। পরে আদালত এই আলামত ফরেনসিক করার আদেশ দিয়েছিল।

জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২৩টি মামলা (মিস কেস) হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয়ে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন (আইসিটি অ্যাক্ট) অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করার পর সেটি যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউটর) অভিযোগ গঠনের জন্য এবং আসামিপক্ষ (ডিফেন্স) অভিযোগ গঠন না করার জন্য শুনানি করবে। শুনানির পর অভিযোগ গঠন করা হবে কি না সেই আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর বিচার কাজ শুরু হয়। রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণার এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারবে আসামিপক্ষ।

ট্যাগ :
© All rights reserved © Dikdarshon.net
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Meghna Host

২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি

শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রমাণ মিলেছে

আপডেট : ১২:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

২২৬টি মামলা হয়েছে, ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া এমন অডিও বক্তব্যের ফরেনসিক প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রুল জারি করেছেন। তদন্ত সংস্থা জানায়, ‘২২৬ টি মামলা হয়েছে মানে ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অডিও রেকর্ডের ফরেনসিক প্রমাণ মিলেছে।

এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগের ওপর শুনানি হয়। এর আগে, শেখ হাসিনার এমন অডিও রেকর্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছিল প্রসিকিউশন টিম। পরে আদালত এই আলামত ফরেনসিক করার আদেশ দিয়েছিল।

জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২৩টি মামলা (মিস কেস) হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয়ে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন (আইসিটি অ্যাক্ট) অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করার পর সেটি যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউটর) অভিযোগ গঠনের জন্য এবং আসামিপক্ষ (ডিফেন্স) অভিযোগ গঠন না করার জন্য শুনানি করবে। শুনানির পর অভিযোগ গঠন করা হবে কি না সেই আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর বিচার কাজ শুরু হয়। রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণার এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারবে আসামিপক্ষ।