বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে বললেন, দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক হওয়া উচিত। বিগত বছরে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও যোগ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও স্বৈরাচার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাই প্রয়োজন জনগণের নির্বাচিত সরকার। তারেক রহমান বলেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে। তারপরেও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কেনো এতো সময়ক্ষেপণ করছেন?
এ নিয়ে জনগণের মনে ধীরে ধীরে প্রশ্ন বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা এবং জনগণের রায়কে অবহেলা করে রাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করা হলে সেটি শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে মুখোমুখি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতি মেরামতের জন্য সংস্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে। চলমান সংস্কার যদি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অবজ্ঞা করতে হয়; তাহলে সংস্কারের তাৎপর্যটা কি? এটি আজ বহু মানুষের প্রশ্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমাদের দলীয় আর্দশ ভিন্ন হলেও আমাদের উদ্দেশ্যে যেহেতু দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং জনগণের কল্যাণ সাধন।
লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলাদেশ, ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বরে আধিপত্যবিরোধী তাবেদারমুক্ত বাংলাদেশ, ‘৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী বাংলাদেশ এবং ২০২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে এমন প্রতিটি বাঁকে মানুষ কেনো অকাতরে জীবন দিয়েছিলেন? কি ছিল এই শহীদদের স্বপ্ন? শহীদদের স্বপ্ন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল তাদের আত্মত্যাদের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা আমরা করতে পারি।