Hi

০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় গণমাধ্যম অপতথ্য ছড়াচ্ছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে ‘গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বললেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রতিদিন ভয়ঙ্কর অপতথ্য ছড়াচ্ছে এবং তাদের এ কাজে সহায়তা করছে আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছরে কীভাবে মিথ্যা ও অপসাংবাদিকতা করা হয়েছে, তা জাতিসংঘের কাছে জানানো হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ করলেও তিনি বলেন, “বাস্তবে মিডিয়া এখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাংবাদিকরা এখন মুক্তভাবে লিখতে পারছেন। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে কোনো মিডিয়া বন্ধ হয়নি। অথচ অন্যান্য দেশে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। এটা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা প্রেস সরকার বন্ধ করেনি। সবাই স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”

প্রেস সচিব বলেন, “জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিনটি নির্বাচন, আইসিটির রায়ে ফাঁসি, মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর সারাদেশে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণহানি, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে। জাতিসংঘ জুলাই গণহত্যা নিয়ে একটি চমৎকার প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী কে কোথায়, কোন ভূমিকা রেখেছেন, সেগুলো উল্লেখ করা আছে। এ রকম একটি প্রতিবেদন যেন গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে করা হয়, সে বিষয়ে জাতিসংঘের সহায়তা চাইব। দেখি তারা কী বলে।”

তিনি আরও বলেন, বিদেশি মিডিয়া ও আওয়ামী লীগ অপতথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মানুষ এখন ভিডিও দেখেন বেশি, নিউজ পড়েন কম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পান্ডারা একটি ভিডিও দিয়ে ছড়াচ্ছিল- এক ছেলেকে জবাই করছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ল্যাটিন আমেরিকায় ড্রাগ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এগুলো মানুষ তো বিশ্বাস করছে। প্রতিনিয়ত অপতথ্য, মিস ও ডিজ ইনফরমেশন আসছে। এর মাধ্যমে সমাজের গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত লাগানো হচ্ছে।

জুলাই আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা আন্দোলনকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনা সভায়। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের উচিত একজন বিচারক, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খোলাসা করা। এটি বহু আগেই করা প্রয়োজন ছিল। যারা এগুলো করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আন্দোলন ব্যর্থ হলে এই সাংবাদিকরা ছাত্রদের কী করতো, আপনারা দেখতেন।

প্রশ্ন করায় তিনজন সাংবাদিক চাকরি হারানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়। কোনো সাংবাদিকের ছাঁটাইয়ে সরকারের ভূমিকা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

ট্যাগ :
© All rights reserved © Dikdarshon.net
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Meghna Host

দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় গণমাধ্যম অপতথ্য ছড়াচ্ছে: প্রেস সচিব

আপডেট : ১১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে ‘গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বললেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রতিদিন ভয়ঙ্কর অপতথ্য ছড়াচ্ছে এবং তাদের এ কাজে সহায়তা করছে আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছরে কীভাবে মিথ্যা ও অপসাংবাদিকতা করা হয়েছে, তা জাতিসংঘের কাছে জানানো হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ করলেও তিনি বলেন, “বাস্তবে মিডিয়া এখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাংবাদিকরা এখন মুক্তভাবে লিখতে পারছেন। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে কোনো মিডিয়া বন্ধ হয়নি। অথচ অন্যান্য দেশে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। এটা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা প্রেস সরকার বন্ধ করেনি। সবাই স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”

প্রেস সচিব বলেন, “জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিনটি নির্বাচন, আইসিটির রায়ে ফাঁসি, মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর সারাদেশে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণহানি, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে। জাতিসংঘ জুলাই গণহত্যা নিয়ে একটি চমৎকার প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী কে কোথায়, কোন ভূমিকা রেখেছেন, সেগুলো উল্লেখ করা আছে। এ রকম একটি প্রতিবেদন যেন গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে করা হয়, সে বিষয়ে জাতিসংঘের সহায়তা চাইব। দেখি তারা কী বলে।”

তিনি আরও বলেন, বিদেশি মিডিয়া ও আওয়ামী লীগ অপতথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মানুষ এখন ভিডিও দেখেন বেশি, নিউজ পড়েন কম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পান্ডারা একটি ভিডিও দিয়ে ছড়াচ্ছিল- এক ছেলেকে জবাই করছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ল্যাটিন আমেরিকায় ড্রাগ নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এগুলো মানুষ তো বিশ্বাস করছে। প্রতিনিয়ত অপতথ্য, মিস ও ডিজ ইনফরমেশন আসছে। এর মাধ্যমে সমাজের গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত লাগানো হচ্ছে।

জুলাই আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা আন্দোলনকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনা সভায়। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের উচিত একজন বিচারক, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খোলাসা করা। এটি বহু আগেই করা প্রয়োজন ছিল। যারা এগুলো করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আন্দোলন ব্যর্থ হলে এই সাংবাদিকরা ছাত্রদের কী করতো, আপনারা দেখতেন।

প্রশ্ন করায় তিনজন সাংবাদিক চাকরি হারানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়। কোনো সাংবাদিকের ছাঁটাইয়ে সরকারের ভূমিকা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।