Hi

০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সবাই ঝুঁকছে স্বপরিবারে মাদক ব্যবসায়

অপ্রতিরোধ্য পল্লবীর মাদক সাম্রাজ্য

  • মীর আলাউদ্দিন
  • আপডেট : ১০:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • ১১৫১ জন দেখেছে

দিনকে দিন মিরপুর পল্লবী এলাকা হয়ে উঠছে মাদকের র্স্বগরাজ্য। অতি দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় নিজের পাশাপাশি স্বপরিবারেও নামছে মাদকের বাণিজ্যে। আর এই মাদকের বাণিজ্য একক নিয়ন্তণ করতে গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং বাহিনী আর তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দেশি বিদেশী আগ্নেয় অস্ত্র। চলতি বছর পল্লবীর বাউনিয়াবাধসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি ও হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনেক আগে থেকেই ওই এলাকার ফর্মা রুবেল, পাতা সোহেল, মিনহাজ, চোরা স্বপনসহ অনেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাষানটেক থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনায় নেমেছেন। ইতিমধ্যেই মিরপুর পল্লবী এলাকায় পাইকারী খুচরা মিলিয়ে প্রায় দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ী গজিয়ে উঠেছে। থেমে নেই পাইকারী পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও। আগে গোটা পল্লবীতে মাত্র ৩০ জন পাইকারী পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৩০ জন। ব্যবসা ভালো হবার সুবাধে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা এখন স্বপরিবারে নেমেছে মাদক ব্যবসায়। র্সোসদের অভয়বানী, পুলিশের পরোক্ষ সহযোগীতা আর রাজনৈতিক নেতাদের পরোক্ষ মদদে পল্লবীতে উঠতি কিশোর মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাও প্রায় হাজার খানেকের উপরে। ১৫/২০ জন সংঘ বদ্ধভাবে চলাফেরা করা এসব উঠতি কিশোরদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দেশীয় অস্ত্র থেকে বিদেশী আগ্নেয় অস্ত্র। মাদক ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য এসব কিশোরদের পক্ষ থেকে বাছাই করে বানানো হয় থানা পুলিশের সোর্স। একবেলা র্সোস অন্যবেলা খুচরা মাদক ব্যবসা করছেন নিশ্চিন্তে। এর আগে পল্লবীতে র্সোস অমিত, র্সোস ডিপজল সুমন, র্সোস বাবলাসহ অনেকেই খোদ পল্লবী থানার সামনে পুলিশের টহল গাড়িতেই বসে মাদক বিক্রি করার নজির রয়েছে তবে এখন সোর্সদের মধ্যে পল্লবীর সিরামিকর্স রোডের সেলিম ব্যাপারী ওরফে পিচ্চি বাবু বেশ নামডাক হাকিয়েছেন। সামান্য পরিমাণের খুচরা মাদক ব্যবসায়ী থেকে এখন তিনি রীতিমতো পাইকারী ব্যবসায়ী বনে গেছেন। তার নিয়ন্ত্রণেই এখন ২৫ সদস্যর একটি মাদক ব্যবসায়ী নেটওর্য়াক গড়ে উঠেছে। পিচ্চি বাবুর ভাগিনা বাপ্পি, ভাতিজা রনি, জনি,রবিন সব দেখভাল করেন। পল্লবীর সকল খুচরা ও পাইকারী মাদক র্স্পটের সামনে প্রায় সারাদিনই পাহারায় থাকে সোর্সদের র্সোসরা। দিন শেষে এই র্সোসরাই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চক্র আকারে ঘোরাতে থাকে আবার অনেক সোর্সরা কিছু পুলিশ সদস্যদের হতে মাসোহারা তুলে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। খোদ থানার ২০০ গজের মধ্যেই বছরের পর বছর ধরে বেশ সুনামের সাথে পাইকারী মাদক ব্যবসা করে আসছেন কুর্মিটোলা পূর্ব ক্যাম্পের বস্তির শাহজাদী, শাহজাদীর জামাই রনি, শাহজাদীর ছেলে সিজান, শাহজাদীর ভাই মনু, সুনু, গরু আমজাদ, মাছ ফয়সাল। তুতা মিয়া বস্তির আছিয়া, আছিয়ার ছেলে আরিফ, আরিফের বউ, রুবেল। শাহপরান বস্তির সুন্দরী ও শিউলী, কালশী বালুর মাঠ বস্তির শাহানাজ, আলমগীর, আলমগীর এর মেয়ে হালিমা, আঁখি, রুবেল ও রনি। বেগুনটিলা সরকারি আবাসন এলাকার শাহজাদীর ভাই বট আসলাম, রাজন ও রাজ, ফর্মা রহমান, সুজন। মিল্লাত ক্যাম্পের সিরাজ, ইউসুফ এর ছেলে ইউনুস, শাহিদ এর ছেলে আলী, কাল্লু এর ছেলে আরজু, সামিধ এর ছেলে নাদিম, মসজিদের পিছনে রাজ্জাকের বউ গুড়িয়া, দুলারা এর স্ত্রী সাম্মি, বি বল্কের সাত নং রোডের মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে আবিদ, একই রোডের আরজু ও অকিল, বি বল্ক চার নং লাইনের মৃত খলিল সরদারের ছেলে পাইকারী হিরোইন ও ইয়াবা বিক্রেতা রুস্তম, ফয়সালের স্ত্রী সায়মা, হাবিব ও হাফিজ দুই ভাই, বি বল্কের সাত নং লাইনের মোস্তফার ছেলে জামাল, জামালের স্ত্রী মনি, আট নং লাইনের মৃত ইসমাইল এ ছেলে রহমত, বাইশ নং লাইনের কালাম, কালামের মোয়ের জামাই জুম্মন,কালামের আপন দুই শ্যালক কলিম ও সেলিম, পাপ্পু ওরফে ন্যাটা পাপ্পু, বিহারী নেতা জাহাঙ্গীর এর বউ লাক্ষী ও তার মেয়ে সনি, এবং লাক্কীর বোন নাসাবা, কাল্লু ওরফে পিচ্চি কাল্লু ও তার বউ বিজলী,কালি ও তার বড় মেয়ে নাহিদ এবং দুলারী, দুলারীর বোন জামাই মিন্টু ও বেচু, এভিনিউ ৫, পাঁচ নং লাইনের মৃত মহরম এর ছেলে জাহাঙ্গীর, সাকলাইন, সি বল্কের চার নং লাইনের আবুল এর ছেলে কামরান,কাউছার এর ছেলে চুম্বনু, মোস্তাকের ছেলে মিস্টার, ১৫/১ নিমতলী বাজার রহমানের বন্তির আরমান ও তার স্ত্রী ফতে, আক্কু সোহেল, খোরশেদ ওরফে ঘাড় কাটা খোরশেদ, তেইশ নং লাইনের সানা ও তার কাছেরর বন্ধু বাদল, লালমতি, রতন, বাবু, প্যারিস রোডের রফিকুল, সুরুজ, শফিকুল, শাকিবুল, মাকসুদ ফুটবল ক্যাম্পের জাহিদ, আবিদ, ইমু, শাসশের, সানি, কানা রানা, মনা ও তার বউ, মনার শালা রানা, দশ নম্বর ওয়াপদা ক্যাম্পের দুই নং ল্ইান বি ভল্কের মৃত শফি মেম্বার এর ছেলে শাহনেওয়াজ, রামুদা ক্যাম্পের সাতাইশ নং লাইনের মোবারকের ছেলে নাদিম,একই লাইনের মৃত আকরামুল হক এর ছেলে মোঃ এসামুল সেদি, বি বল্কের মিলন ওরফে মুখ পোড়া মিলন, র্সোস রানা, পিতা জলিল, র্সোস রাজীব, এমসিসি ক্যাম্পের আফসার, সানি, গাজী ও তার দুলাভাই র্সোস জাহাঙ্গীর, র্সোস জাকির, র্সোস ইসরাফিল, র্সোস কোরবান, ঝুট পট্টির ন্যাটা জুম্মন, বান্টি, বারো নং ধ ব্লকের শামসুলের ছেলে ফরহাদ, র্সোস জুলফিকার, মিয়াজীর ছেলে মুন্না, তছুর ছেলে আতিক, রফিকুল এক নং ওয়াপদা বিল্ডিং ফয়সাল,মেম্বার শাহনেওয়াজ, পলু, দানু, দুই নং ওয়াপদা বিল্ডিং নিজামুদ্দিন এর চার ছেলে সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন ও তার ছেলে রাসেল, তারেক, সোহেল, শানু, চার নং ওয়াপদা বিল্ডিং লিটন ও তার ভাই কাল্লু,আসলাম ও জাবেদ, দশ নম্বর মুসলিম ক্যাম্পের বাস্তুহারা মুন্না, এমডিসি ক্যাম্পের ন্যাংড়া রুবেল, মোটা শহিদ, পিঠাগুড্ডু এর ভাগিনা আরমান, দশ নম্বর ওয়াপদা বিল্ডিং এর মফিজ,হাসান, র্সোস রাজীব, এডিসি ক্যাম্পের নাসির, হিজরা বাবর, রুবেল ওরফে ন্যাংড়া রুবেল, শহিদের ছেলে আজহার,মজিদের ছেলে নান্নু, তালাব ক্যাম্প আরজু ও তার বোন এবং বোন জামাই সোলেমান, বিহারী মোস্তাকের শ্যালক ফিরোজ, শহিদের ছেলে আবিদ, এগারো নং ব্লক এ এর বাবু ও তার শাশুড়ী এবং তার শ্যালক ইব্রাহিম ও তার বউ প্রিয়া, এগারো নং সি ব্লক আট নং লাইনের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে জাহাঙ্গীর, সেকশন এগারো ডুইপ প্লট মোস্তাকের মেয়ে জামাই হাফিজ, যুবদল নেতা ফুজলু, মালার ছেলে মারুফ, রহমত ক্যাম্প ডিবজল সুমন, সালাম, সান্জু, চুল্লুর ছেলে কামরান, কনসাল ক্যাম্প কালেখানের ছেলে পারভেজ, ক্যাপ্টেন ও তার ভাই জুম্মন,পদ্দ ও তার স্বামী অমিত, এগারোর ডি ব্লক সাতাইশ নং লাইনের এনামলি হক ছেদি,কোরবান, বারো নং ই ব্লক আওয়ামীলীগ নেতা মনির এর ছেলে টিটু, মোরাপাড়া ক্যাম্প শেখ আহম্মদ, বারো ডি ব্লক স্কুল ক্যাম্প আজগরের ছেলে বুলু, করিম, পেপার সানি, র্সোস মালেকের ছেলে মানিক, সেকশন সাতের বাবুলের ছেলে সালাউদ্দিন, আসাদ,রুবেল ওরফে সুন্দরী রুবেল, কামরুল, শফিক, বারানটেকের ইমরান ও বাপ্পি। বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় মাদক ব্যবসায় রয়েছেন এমপি ফয়সাল, এ বল্ক পোড়া বস্তির মোঃ আবু কালাম, জনি, রাশেদ, আলদী, মুন্না, আরমান, সোহাগ, রফিক, বাবু, জসিম, বি বল্কে মৃত বাবুলের এর ছেলে মামুন, দেলোয়ার এর ছেলে মামুন, লম্বা ফারুক, সুলাইমানের ছেলে ডাকু রমজান, বাউনিয়াবাঁধ কলা পট্টি এলাকার সুলাইমান এর স্ত্রী টুম্পা, কাশেম, ইসমাইল, মৃত বাবুল এর স্ত্রী পাখি, চব্বিশ নং লাইনের চোরা আমির, বাউনিয়াবাদ পিকআপ স্ট্যান্ডে ইদ্রিসের ছেলে সোহেল ওরফে কিলার পাতা সোহেল, সোহেলের বউ, মোঃ সেলিম, রাজিব ওরফে র্ফমা রাজিব, ডি বল্ক এর স্বপন, পনের নম্বর লাইনের মজনু, স্বপন ওরফে চোরা স্বপন নিজে ও তার দুই ছেলে হারুন ও মুসা, এক নং রোডের সিরাজ এর ছেলে রুবেল, বাবু, রহমান সাদেক এর ছেলে পুলিশের র্সোস সুলাইমান, একই লাইনের গিয়াসউদ্দিন এর ছেলে লিটন, একই লাইনের জনি, ডি বল্কের তিন নং রোডের হাফিজের ছেলে শামিম, কারেন্ট করিমের ছেলে মিজান, চৌদ্দ নং লাইনের বোরহানউদ্দিন এর েেছলে মান্নান, মানিকের ছেলে সোহেল, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী, তের নং লাইনের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মুরগী রনি, ষোল নং লাইনের সাদেকের ছেলে সাইফুল, দশ নং লাইনের নুর ইসলাম এর ছেলে পিন্টু, ই বল্কের হানিফের ছেলে শাওন, ক্যাইল্লা আলতাবের ভাগিনা রব ও তার ভাই মলফু, দুই নং লাইনের জালাল মিস্তির ছেলে কানু, তিন নং লাইনের আব্দুর রবের ছেলে সালাম, দুই নং রোডের স্বপনের ছেলে জান্নাত, চুন্নু মিয়ার ছেলে জনসু, এক নং রোডের মৃত দাদন মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা, এগারো নং রোডের সালামের ছেলে সেলিম, দুই নং রোডের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক মাহাজনের ছেলে রাজু ও রাব্বি, তের নং রোডের পইক্ষা মিয়ার ছেলে বিজয়, চৌদ্দ নং রোডের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শামিম, বারো নং লাইনের শিবু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম, চার নং রোডের ইয়াসিন বয়াতির ছেলে নুর হোসেন একই রোডের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শাহিন, ষোল রোডের ইউনুস আলীর ছেলে শামিম। আদর্শ নগর এলাকার ডুইপের লাইন নং এগারোর লাভলী, লাভলীর বোন ময়না, টুন্ডা মজিবরে ছেলে রবিউল, লাভলীর ছেলে আকাশ, এরশাদ, এরশাদের ভাই সুমন, শুভ, পিচ্চি শাহিন, কালশী কবরস্থানের পিছনে ১ নং রোডের শাহিনুর, শাহিনুরের ভাই জসিম, শাহিনুরের বোন চম্পাসহ আরো হাজার খানেক মাদক ব্যবসায়ী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোট পল্লবী এলাকা।

রাজধানী মিরপুর পল্লবীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী পরিবার হচ্ছে মাদক সম্রাজ্ঞী ফতেমা বেগম ওরফে হিরোইন ফতুর পরিবার। শুধু এ পরিবারের সদস্যদের নামেই রয়েছে ৬৮টি মাদক মামলা। ফতুর নামে রয়েছে ১৯ টি মামলা, ফতের ভাই মামুন ওরফে বাবা মামুন এর নামে মামলা রয়েছে ২০ টি মামলা, ফতের আরেক ভাই খোকন ওরফে কোকেন খোকনের নামে রয়েছে ১১ টি মামলা, ফতের ভাইয়ের স্ত্রী মনি এর নামে রয়েছে ৪ টি মামলা, আরেক ভাইয়ের স্ত্রী রাবেয়ার নামে রয়েছে ২টি মামলা, ফতের স্বামী খোকনের নামে রয়েছে ৩ টি মামলা, ফতের ভাগ্নে নাইন এম এম শ্যুটার খ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার অনিকের নামে রয়েছে ৫ টি মামলা। ফতের মা হাসিনার নামে রয়েছে ৩টি মামলা, ফতের বোন পাপিয়ার নামে রয়েছে ১ টি মামলা। যখন যে সরকারই আসুক না কেন সেই দলের পল্লবী এলাকায় থাকা উপরের নেতাদের বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা মোটা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রাখে। থানা পুলিশের অভিযান হবার আগেই গোপনে তাদের কাছে গায়েবী ভাবে অভিযানের তথ্য চলে আসে। ৫ অগাস্টের পরে ফতের মাদক ব্যবসা বেশ জমজমাট। মাঝে সাঝে দলীয় লোকজন এসে ঝামেলা বাধালেও অজ্ঞাত কারণবশত তারা দ্বিতীয়বার আর ঝামেলা বাধাঁতে আসে না। জানা যায় ফতের ভাই মামুন পল্লবী বিএনপি’র বেশ কিছু নেতার সাথে গভীর রাতে মাসে অন্তত একটি বার হলেও দেখা করে। মাদক ব্যবসা নিরাপদ রাখতে বিএনপি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মিরপুর ইর্ষ্টাণ হাউজিং এ বসবাসরত এবং ঢাকা ১৬ আসনের (রুপনগর ও পল্লবী) সম্ভব্য এমপি পদপ্রার্থী আমিনুল হকসহ পল্লবীর বিভিন্ন বিএনপি’র নেতাদের সাথে ফতের ভাই মামুন ছবি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে। গত বছর জানুয়ারীতেও ৫০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মাদক স¤্রাজ্ঞী ফতেমা ওরফে ফতু কিন্তু তারপরেও থেমে নেই তার মাদক ব্যবসা।

মিরপুরের মাদকের অভয় অরোণ্য খ্যাত মিল্লাত ক্যাম্পের সবচেয়ে বেশি পইিকারী হিরোইন বিক্রেতা হচ্ছেন আনোয়ারী। সচারচর তিনি কোটি টাকার নিচে কাউকে হিরোইন সাপ্লাই দেন না বলে জানা গেছে। তার নাম যশ এতটাই ছড়িয়েছে যে তাকে এখন মাদকের মা হিরোইন আনোয়ারী হিসেবেই সবাই চিনে। দেশের বড় বড় প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও তাকে বেশ সমীহ করে চলে এবং তার কথায় উঠেবসে বলেও চাওর আছে। অবশ্য প্রশাসনের সাথে দেন দরবার ঠিকঠাক না হলেই ধরা পড়ে আনোয়ারীর কোটি কোটি টাকার হিরোইন। বর্তমানে আনোয়ারী তার নিজের নিরাপত্তার জন্য ৫০ জন সদস্যর একটি অস্ত্রধারী বাহিনী গঠন করেছে। শুরুতে নিজে মাদক ব্যবসা শুরু করলেও এখন তার গোটা পরিবার এমনকি আত্নীয় স্বজনদেরও এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে নিয়েছে। আনোয়ারীর ছেলে ওয়াহিদ, আনোয়ারীর ভাগিনী সায়মা ও সাম্মি, আত্নীয় মাশআলী, মেয়ের জামাই কামরান, মাহতাবসহ ১৫ জন রয়েছে এই মাদক ব্যবসায়। এদর সকলেরই নামে রয়েছে মাদক মামলা। খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে আনোয়ারী গঠন করেছে কুইক রেসপন্স নামের ৩০ সদস্যর একটি বাহিনী। যাদের কাজ হলো অপরিচিত কেউ আসলেই তার তথ্য জানানো এবং তার উপর নজরদারি করা। আনোয়ারীর প্রভাব এতটাই বেশি যে স্থানীয়ভাবে কারোরই সাহস হয় না তার বিরুদ্ধে কিছু বলার।

পল্লবীতে অপ্রতিরোধ্য মাদক ব্যবসা নিয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পল্লবী থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। ৫ অগাস্টের পরে দেশের পুলিশ বাহিনীর উপর দিয়ে বেশ বড় ধরনের ঝড় বয়ে গেছে, সেই অবস্থান থেকে পুলিশ বাহিনী উঠে দাড়িয়েছে। বর্তমানে পল্লবী থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে মাঝেসাঝেই বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মব সৃষ্টির কারণে পুলিশ সদস্যদের মনোবলে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল সে পরিস্থিতি থেকে পুলিশ সদস্যরা উঠে দাড়িয়েছে এবং জনগণের জান মাল নিরাপত্তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমি আমার থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে আমার থানার সদস্য ছাড়াও থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদককে কেন্দ্র করে গোলাগুলি ছাড়াও আমার থানা এলাকায় যারাই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরকে আমরা গ্রেফতার করছি এবং আমার থানার সকল সদস্য সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি মাসেও আমাদের অভিযানে এভিনিউ ৫ এলাকাসহ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান গাজা, হিরোইন ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। যারাই যুব সমাজ নষ্ট করার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের কোন প্রকার ছাড় পাবার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের খুজে বের করে আইনের আওয়তায় আনবে।

পল্লবী এলাকায় মাদকের রমরমা বাণিজ্যের ছড়াছড়ি। ৫ অগাস্টের পরে তা রীতিমতো ভয়ানক আকারে পরিণত হয়েছে। আতঙ্কিত পুলিশ বিভিন্ন কারণে অভিযান চালাতে ভয় পাচ্ছে এসব বুঝেই মাদক ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি হয়ে প্রকাশ্যেই পরিচালনা শুরু করেছে তাদের মাদকের ব্যবসা। আগে মাসে ১০ লাখ টাকার মাদক বিক্রি করতে হিমসিম খেলেও ৫ অগাস্টের পরে কোন কোন মাদক ব্যবসায়ী মাসে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে মাদক ব্যবসা করে। পল্লবীর ছিঁচকে মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পাইকারী মাদক ব্যবসায়ী সবাই বেশ খুশিতেই চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের মাদক ব্যবসা। ঠিক সেই মুহুর্তে তাদের ব্যবসার জোয়ারে ভাটা সৃষ্টি করে দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত যৌথ অভিযান। গোটা পল্লবী এলাকায় যেখানে পুলিশ খুজে বের করতে পারে না সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ীদের ধরাশায়ী করছেন। শুধু মাদক ব্যবসায়ীই নয় সব ধরনের অপরাধীদের ধরাশায়ী করে অপরাধীদের মনে ভীতের সঞ্চার করে স্থানীদের ব্যপক প্রসংশা কুড়িয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের যদি সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করা যায় তবে খুব দ্রুত পল্লবী এলাকাকে মাদক মুক্ত করা সম্ভব। গেলো কয়েক মাসে পল্লবী এলাকায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি একাধিক হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধী মূলক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং সে অপরাধের সাথে যুক্ত অনেককেই সেনাবাহিনীর অভিযানে ধরাশায়ী হতে হয়েছে। তবে সেনা অভিযানে সবচেয়ে বেশি ভাটা পড়েছে মাদক ব্যবসায়। মাদক ব্যবসায়ী শাহিনুর, রেহেনা ও খাদিজা আক্তর খদের মতো বড় বড় পাইকারী মাদক ব্যবসাীয়রা ধরাশায়ী হচ্ছে যৌথবাহিনীর এই অভিযানে।

ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের মদদের অভিযোগ রয়েছে পল্লবী এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে। অনেকেই আবার পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক কামাল বলেন, খালি মাদক কেন কোন অন্যায় কর্মকান্ডের সাথে বিএনপি’র কারো যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। মাদকের সাথে কেউ পরোক্ষভাবে বা মাদক ব্যবসায়ীদের মদদে যেই যুক্ত থাকুক সে যদি আমিও হই সেটাও আপনারা স্বাধীনভাবে লিখে প্রশাসনকে সহায়তা করুন তা নির্মূল করতে। আমাদের দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশ বিএনপি’র কেউ কোন অন্যায় অপরাধের সাথে যুক্ত থাকতে পারবে না। এ বিষয়ে পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজ¦ী নুর সালাম বলেন, আমাদের যুবদলের কেউ মাদক ব্যবসায়ীদের মদদের সাথে জড়িত নেই বা কেউ পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত নেই। আমরা যুবদলের কাউকে কোন ধরনের মাদকের সাথে সংপৃক্ততা পেলেই সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ আইনের কাছে সর্পদ করে দেই।

ট্যাগ :
© All rights reserved © Dikdarshon.net
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Meghna Host

সবাই ঝুঁকছে স্বপরিবারে মাদক ব্যবসায়

অপ্রতিরোধ্য পল্লবীর মাদক সাম্রাজ্য

আপডেট : ১০:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

দিনকে দিন মিরপুর পল্লবী এলাকা হয়ে উঠছে মাদকের র্স্বগরাজ্য। অতি দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় নিজের পাশাপাশি স্বপরিবারেও নামছে মাদকের বাণিজ্যে। আর এই মাদকের বাণিজ্য একক নিয়ন্তণ করতে গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং বাহিনী আর তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দেশি বিদেশী আগ্নেয় অস্ত্র। চলতি বছর পল্লবীর বাউনিয়াবাধসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি ও হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনেক আগে থেকেই ওই এলাকার ফর্মা রুবেল, পাতা সোহেল, মিনহাজ, চোরা স্বপনসহ অনেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাষানটেক থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনায় নেমেছেন। ইতিমধ্যেই মিরপুর পল্লবী এলাকায় পাইকারী খুচরা মিলিয়ে প্রায় দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ী গজিয়ে উঠেছে। থেমে নেই পাইকারী পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও। আগে গোটা পল্লবীতে মাত্র ৩০ জন পাইকারী পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৩০ জন। ব্যবসা ভালো হবার সুবাধে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা এখন স্বপরিবারে নেমেছে মাদক ব্যবসায়। র্সোসদের অভয়বানী, পুলিশের পরোক্ষ সহযোগীতা আর রাজনৈতিক নেতাদের পরোক্ষ মদদে পল্লবীতে উঠতি কিশোর মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাও প্রায় হাজার খানেকের উপরে। ১৫/২০ জন সংঘ বদ্ধভাবে চলাফেরা করা এসব উঠতি কিশোরদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দেশীয় অস্ত্র থেকে বিদেশী আগ্নেয় অস্ত্র। মাদক ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য এসব কিশোরদের পক্ষ থেকে বাছাই করে বানানো হয় থানা পুলিশের সোর্স। একবেলা র্সোস অন্যবেলা খুচরা মাদক ব্যবসা করছেন নিশ্চিন্তে। এর আগে পল্লবীতে র্সোস অমিত, র্সোস ডিপজল সুমন, র্সোস বাবলাসহ অনেকেই খোদ পল্লবী থানার সামনে পুলিশের টহল গাড়িতেই বসে মাদক বিক্রি করার নজির রয়েছে তবে এখন সোর্সদের মধ্যে পল্লবীর সিরামিকর্স রোডের সেলিম ব্যাপারী ওরফে পিচ্চি বাবু বেশ নামডাক হাকিয়েছেন। সামান্য পরিমাণের খুচরা মাদক ব্যবসায়ী থেকে এখন তিনি রীতিমতো পাইকারী ব্যবসায়ী বনে গেছেন। তার নিয়ন্ত্রণেই এখন ২৫ সদস্যর একটি মাদক ব্যবসায়ী নেটওর্য়াক গড়ে উঠেছে। পিচ্চি বাবুর ভাগিনা বাপ্পি, ভাতিজা রনি, জনি,রবিন সব দেখভাল করেন। পল্লবীর সকল খুচরা ও পাইকারী মাদক র্স্পটের সামনে প্রায় সারাদিনই পাহারায় থাকে সোর্সদের র্সোসরা। দিন শেষে এই র্সোসরাই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চক্র আকারে ঘোরাতে থাকে আবার অনেক সোর্সরা কিছু পুলিশ সদস্যদের হতে মাসোহারা তুলে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। খোদ থানার ২০০ গজের মধ্যেই বছরের পর বছর ধরে বেশ সুনামের সাথে পাইকারী মাদক ব্যবসা করে আসছেন কুর্মিটোলা পূর্ব ক্যাম্পের বস্তির শাহজাদী, শাহজাদীর জামাই রনি, শাহজাদীর ছেলে সিজান, শাহজাদীর ভাই মনু, সুনু, গরু আমজাদ, মাছ ফয়সাল। তুতা মিয়া বস্তির আছিয়া, আছিয়ার ছেলে আরিফ, আরিফের বউ, রুবেল। শাহপরান বস্তির সুন্দরী ও শিউলী, কালশী বালুর মাঠ বস্তির শাহানাজ, আলমগীর, আলমগীর এর মেয়ে হালিমা, আঁখি, রুবেল ও রনি। বেগুনটিলা সরকারি আবাসন এলাকার শাহজাদীর ভাই বট আসলাম, রাজন ও রাজ, ফর্মা রহমান, সুজন। মিল্লাত ক্যাম্পের সিরাজ, ইউসুফ এর ছেলে ইউনুস, শাহিদ এর ছেলে আলী, কাল্লু এর ছেলে আরজু, সামিধ এর ছেলে নাদিম, মসজিদের পিছনে রাজ্জাকের বউ গুড়িয়া, দুলারা এর স্ত্রী সাম্মি, বি বল্কের সাত নং রোডের মৃত আহম্মদ হোসেনের ছেলে আবিদ, একই রোডের আরজু ও অকিল, বি বল্ক চার নং লাইনের মৃত খলিল সরদারের ছেলে পাইকারী হিরোইন ও ইয়াবা বিক্রেতা রুস্তম, ফয়সালের স্ত্রী সায়মা, হাবিব ও হাফিজ দুই ভাই, বি বল্কের সাত নং লাইনের মোস্তফার ছেলে জামাল, জামালের স্ত্রী মনি, আট নং লাইনের মৃত ইসমাইল এ ছেলে রহমত, বাইশ নং লাইনের কালাম, কালামের মোয়ের জামাই জুম্মন,কালামের আপন দুই শ্যালক কলিম ও সেলিম, পাপ্পু ওরফে ন্যাটা পাপ্পু, বিহারী নেতা জাহাঙ্গীর এর বউ লাক্ষী ও তার মেয়ে সনি, এবং লাক্কীর বোন নাসাবা, কাল্লু ওরফে পিচ্চি কাল্লু ও তার বউ বিজলী,কালি ও তার বড় মেয়ে নাহিদ এবং দুলারী, দুলারীর বোন জামাই মিন্টু ও বেচু, এভিনিউ ৫, পাঁচ নং লাইনের মৃত মহরম এর ছেলে জাহাঙ্গীর, সাকলাইন, সি বল্কের চার নং লাইনের আবুল এর ছেলে কামরান,কাউছার এর ছেলে চুম্বনু, মোস্তাকের ছেলে মিস্টার, ১৫/১ নিমতলী বাজার রহমানের বন্তির আরমান ও তার স্ত্রী ফতে, আক্কু সোহেল, খোরশেদ ওরফে ঘাড় কাটা খোরশেদ, তেইশ নং লাইনের সানা ও তার কাছেরর বন্ধু বাদল, লালমতি, রতন, বাবু, প্যারিস রোডের রফিকুল, সুরুজ, শফিকুল, শাকিবুল, মাকসুদ ফুটবল ক্যাম্পের জাহিদ, আবিদ, ইমু, শাসশের, সানি, কানা রানা, মনা ও তার বউ, মনার শালা রানা, দশ নম্বর ওয়াপদা ক্যাম্পের দুই নং ল্ইান বি ভল্কের মৃত শফি মেম্বার এর ছেলে শাহনেওয়াজ, রামুদা ক্যাম্পের সাতাইশ নং লাইনের মোবারকের ছেলে নাদিম,একই লাইনের মৃত আকরামুল হক এর ছেলে মোঃ এসামুল সেদি, বি বল্কের মিলন ওরফে মুখ পোড়া মিলন, র্সোস রানা, পিতা জলিল, র্সোস রাজীব, এমসিসি ক্যাম্পের আফসার, সানি, গাজী ও তার দুলাভাই র্সোস জাহাঙ্গীর, র্সোস জাকির, র্সোস ইসরাফিল, র্সোস কোরবান, ঝুট পট্টির ন্যাটা জুম্মন, বান্টি, বারো নং ধ ব্লকের শামসুলের ছেলে ফরহাদ, র্সোস জুলফিকার, মিয়াজীর ছেলে মুন্না, তছুর ছেলে আতিক, রফিকুল এক নং ওয়াপদা বিল্ডিং ফয়সাল,মেম্বার শাহনেওয়াজ, পলু, দানু, দুই নং ওয়াপদা বিল্ডিং নিজামুদ্দিন এর চার ছেলে সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন ও তার ছেলে রাসেল, তারেক, সোহেল, শানু, চার নং ওয়াপদা বিল্ডিং লিটন ও তার ভাই কাল্লু,আসলাম ও জাবেদ, দশ নম্বর মুসলিম ক্যাম্পের বাস্তুহারা মুন্না, এমডিসি ক্যাম্পের ন্যাংড়া রুবেল, মোটা শহিদ, পিঠাগুড্ডু এর ভাগিনা আরমান, দশ নম্বর ওয়াপদা বিল্ডিং এর মফিজ,হাসান, র্সোস রাজীব, এডিসি ক্যাম্পের নাসির, হিজরা বাবর, রুবেল ওরফে ন্যাংড়া রুবেল, শহিদের ছেলে আজহার,মজিদের ছেলে নান্নু, তালাব ক্যাম্প আরজু ও তার বোন এবং বোন জামাই সোলেমান, বিহারী মোস্তাকের শ্যালক ফিরোজ, শহিদের ছেলে আবিদ, এগারো নং ব্লক এ এর বাবু ও তার শাশুড়ী এবং তার শ্যালক ইব্রাহিম ও তার বউ প্রিয়া, এগারো নং সি ব্লক আট নং লাইনের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে জাহাঙ্গীর, সেকশন এগারো ডুইপ প্লট মোস্তাকের মেয়ে জামাই হাফিজ, যুবদল নেতা ফুজলু, মালার ছেলে মারুফ, রহমত ক্যাম্প ডিবজল সুমন, সালাম, সান্জু, চুল্লুর ছেলে কামরান, কনসাল ক্যাম্প কালেখানের ছেলে পারভেজ, ক্যাপ্টেন ও তার ভাই জুম্মন,পদ্দ ও তার স্বামী অমিত, এগারোর ডি ব্লক সাতাইশ নং লাইনের এনামলি হক ছেদি,কোরবান, বারো নং ই ব্লক আওয়ামীলীগ নেতা মনির এর ছেলে টিটু, মোরাপাড়া ক্যাম্প শেখ আহম্মদ, বারো ডি ব্লক স্কুল ক্যাম্প আজগরের ছেলে বুলু, করিম, পেপার সানি, র্সোস মালেকের ছেলে মানিক, সেকশন সাতের বাবুলের ছেলে সালাউদ্দিন, আসাদ,রুবেল ওরফে সুন্দরী রুবেল, কামরুল, শফিক, বারানটেকের ইমরান ও বাপ্পি। বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় মাদক ব্যবসায় রয়েছেন এমপি ফয়সাল, এ বল্ক পোড়া বস্তির মোঃ আবু কালাম, জনি, রাশেদ, আলদী, মুন্না, আরমান, সোহাগ, রফিক, বাবু, জসিম, বি বল্কে মৃত বাবুলের এর ছেলে মামুন, দেলোয়ার এর ছেলে মামুন, লম্বা ফারুক, সুলাইমানের ছেলে ডাকু রমজান, বাউনিয়াবাঁধ কলা পট্টি এলাকার সুলাইমান এর স্ত্রী টুম্পা, কাশেম, ইসমাইল, মৃত বাবুল এর স্ত্রী পাখি, চব্বিশ নং লাইনের চোরা আমির, বাউনিয়াবাদ পিকআপ স্ট্যান্ডে ইদ্রিসের ছেলে সোহেল ওরফে কিলার পাতা সোহেল, সোহেলের বউ, মোঃ সেলিম, রাজিব ওরফে র্ফমা রাজিব, ডি বল্ক এর স্বপন, পনের নম্বর লাইনের মজনু, স্বপন ওরফে চোরা স্বপন নিজে ও তার দুই ছেলে হারুন ও মুসা, এক নং রোডের সিরাজ এর ছেলে রুবেল, বাবু, রহমান সাদেক এর ছেলে পুলিশের র্সোস সুলাইমান, একই লাইনের গিয়াসউদ্দিন এর ছেলে লিটন, একই লাইনের জনি, ডি বল্কের তিন নং রোডের হাফিজের ছেলে শামিম, কারেন্ট করিমের ছেলে মিজান, চৌদ্দ নং লাইনের বোরহানউদ্দিন এর েেছলে মান্নান, মানিকের ছেলে সোহেল, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী, তের নং লাইনের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মুরগী রনি, ষোল নং লাইনের সাদেকের ছেলে সাইফুল, দশ নং লাইনের নুর ইসলাম এর ছেলে পিন্টু, ই বল্কের হানিফের ছেলে শাওন, ক্যাইল্লা আলতাবের ভাগিনা রব ও তার ভাই মলফু, দুই নং লাইনের জালাল মিস্তির ছেলে কানু, তিন নং লাইনের আব্দুর রবের ছেলে সালাম, দুই নং রোডের স্বপনের ছেলে জান্নাত, চুন্নু মিয়ার ছেলে জনসু, এক নং রোডের মৃত দাদন মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা, এগারো নং রোডের সালামের ছেলে সেলিম, দুই নং রোডের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক মাহাজনের ছেলে রাজু ও রাব্বি, তের নং রোডের পইক্ষা মিয়ার ছেলে বিজয়, চৌদ্দ নং রোডের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শামিম, বারো নং লাইনের শিবু মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম, চার নং রোডের ইয়াসিন বয়াতির ছেলে নুর হোসেন একই রোডের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শাহিন, ষোল রোডের ইউনুস আলীর ছেলে শামিম। আদর্শ নগর এলাকার ডুইপের লাইন নং এগারোর লাভলী, লাভলীর বোন ময়না, টুন্ডা মজিবরে ছেলে রবিউল, লাভলীর ছেলে আকাশ, এরশাদ, এরশাদের ভাই সুমন, শুভ, পিচ্চি শাহিন, কালশী কবরস্থানের পিছনে ১ নং রোডের শাহিনুর, শাহিনুরের ভাই জসিম, শাহিনুরের বোন চম্পাসহ আরো হাজার খানেক মাদক ব্যবসায়ী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোট পল্লবী এলাকা।

রাজধানী মিরপুর পল্লবীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী পরিবার হচ্ছে মাদক সম্রাজ্ঞী ফতেমা বেগম ওরফে হিরোইন ফতুর পরিবার। শুধু এ পরিবারের সদস্যদের নামেই রয়েছে ৬৮টি মাদক মামলা। ফতুর নামে রয়েছে ১৯ টি মামলা, ফতের ভাই মামুন ওরফে বাবা মামুন এর নামে মামলা রয়েছে ২০ টি মামলা, ফতের আরেক ভাই খোকন ওরফে কোকেন খোকনের নামে রয়েছে ১১ টি মামলা, ফতের ভাইয়ের স্ত্রী মনি এর নামে রয়েছে ৪ টি মামলা, আরেক ভাইয়ের স্ত্রী রাবেয়ার নামে রয়েছে ২টি মামলা, ফতের স্বামী খোকনের নামে রয়েছে ৩ টি মামলা, ফতের ভাগ্নে নাইন এম এম শ্যুটার খ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার অনিকের নামে রয়েছে ৫ টি মামলা। ফতের মা হাসিনার নামে রয়েছে ৩টি মামলা, ফতের বোন পাপিয়ার নামে রয়েছে ১ টি মামলা। যখন যে সরকারই আসুক না কেন সেই দলের পল্লবী এলাকায় থাকা উপরের নেতাদের বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা মোটা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রাখে। থানা পুলিশের অভিযান হবার আগেই গোপনে তাদের কাছে গায়েবী ভাবে অভিযানের তথ্য চলে আসে। ৫ অগাস্টের পরে ফতের মাদক ব্যবসা বেশ জমজমাট। মাঝে সাঝে দলীয় লোকজন এসে ঝামেলা বাধালেও অজ্ঞাত কারণবশত তারা দ্বিতীয়বার আর ঝামেলা বাধাঁতে আসে না। জানা যায় ফতের ভাই মামুন পল্লবী বিএনপি’র বেশ কিছু নেতার সাথে গভীর রাতে মাসে অন্তত একটি বার হলেও দেখা করে। মাদক ব্যবসা নিরাপদ রাখতে বিএনপি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মিরপুর ইর্ষ্টাণ হাউজিং এ বসবাসরত এবং ঢাকা ১৬ আসনের (রুপনগর ও পল্লবী) সম্ভব্য এমপি পদপ্রার্থী আমিনুল হকসহ পল্লবীর বিভিন্ন বিএনপি’র নেতাদের সাথে ফতের ভাই মামুন ছবি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে। গত বছর জানুয়ারীতেও ৫০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মাদক স¤্রাজ্ঞী ফতেমা ওরফে ফতু কিন্তু তারপরেও থেমে নেই তার মাদক ব্যবসা।

মিরপুরের মাদকের অভয় অরোণ্য খ্যাত মিল্লাত ক্যাম্পের সবচেয়ে বেশি পইিকারী হিরোইন বিক্রেতা হচ্ছেন আনোয়ারী। সচারচর তিনি কোটি টাকার নিচে কাউকে হিরোইন সাপ্লাই দেন না বলে জানা গেছে। তার নাম যশ এতটাই ছড়িয়েছে যে তাকে এখন মাদকের মা হিরোইন আনোয়ারী হিসেবেই সবাই চিনে। দেশের বড় বড় প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও তাকে বেশ সমীহ করে চলে এবং তার কথায় উঠেবসে বলেও চাওর আছে। অবশ্য প্রশাসনের সাথে দেন দরবার ঠিকঠাক না হলেই ধরা পড়ে আনোয়ারীর কোটি কোটি টাকার হিরোইন। বর্তমানে আনোয়ারী তার নিজের নিরাপত্তার জন্য ৫০ জন সদস্যর একটি অস্ত্রধারী বাহিনী গঠন করেছে। শুরুতে নিজে মাদক ব্যবসা শুরু করলেও এখন তার গোটা পরিবার এমনকি আত্নীয় স্বজনদেরও এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে নিয়েছে। আনোয়ারীর ছেলে ওয়াহিদ, আনোয়ারীর ভাগিনী সায়মা ও সাম্মি, আত্নীয় মাশআলী, মেয়ের জামাই কামরান, মাহতাবসহ ১৫ জন রয়েছে এই মাদক ব্যবসায়। এদর সকলেরই নামে রয়েছে মাদক মামলা। খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে আনোয়ারী গঠন করেছে কুইক রেসপন্স নামের ৩০ সদস্যর একটি বাহিনী। যাদের কাজ হলো অপরিচিত কেউ আসলেই তার তথ্য জানানো এবং তার উপর নজরদারি করা। আনোয়ারীর প্রভাব এতটাই বেশি যে স্থানীয়ভাবে কারোরই সাহস হয় না তার বিরুদ্ধে কিছু বলার।

পল্লবীতে অপ্রতিরোধ্য মাদক ব্যবসা নিয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পল্লবী থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। ৫ অগাস্টের পরে দেশের পুলিশ বাহিনীর উপর দিয়ে বেশ বড় ধরনের ঝড় বয়ে গেছে, সেই অবস্থান থেকে পুলিশ বাহিনী উঠে দাড়িয়েছে। বর্তমানে পল্লবী থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে মাঝেসাঝেই বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মব সৃষ্টির কারণে পুলিশ সদস্যদের মনোবলে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল সে পরিস্থিতি থেকে পুলিশ সদস্যরা উঠে দাড়িয়েছে এবং জনগণের জান মাল নিরাপত্তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমি আমার থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে আমার থানার সদস্য ছাড়াও থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদককে কেন্দ্র করে গোলাগুলি ছাড়াও আমার থানা এলাকায় যারাই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরকে আমরা গ্রেফতার করছি এবং আমার থানার সকল সদস্য সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি মাসেও আমাদের অভিযানে এভিনিউ ৫ এলাকাসহ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান গাজা, হিরোইন ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। যারাই যুব সমাজ নষ্ট করার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের কোন প্রকার ছাড় পাবার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের খুজে বের করে আইনের আওয়তায় আনবে।

পল্লবী এলাকায় মাদকের রমরমা বাণিজ্যের ছড়াছড়ি। ৫ অগাস্টের পরে তা রীতিমতো ভয়ানক আকারে পরিণত হয়েছে। আতঙ্কিত পুলিশ বিভিন্ন কারণে অভিযান চালাতে ভয় পাচ্ছে এসব বুঝেই মাদক ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি হয়ে প্রকাশ্যেই পরিচালনা শুরু করেছে তাদের মাদকের ব্যবসা। আগে মাসে ১০ লাখ টাকার মাদক বিক্রি করতে হিমসিম খেলেও ৫ অগাস্টের পরে কোন কোন মাদক ব্যবসায়ী মাসে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে মাদক ব্যবসা করে। পল্লবীর ছিঁচকে মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পাইকারী মাদক ব্যবসায়ী সবাই বেশ খুশিতেই চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের মাদক ব্যবসা। ঠিক সেই মুহুর্তে তাদের ব্যবসার জোয়ারে ভাটা সৃষ্টি করে দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত যৌথ অভিযান। গোটা পল্লবী এলাকায় যেখানে পুলিশ খুজে বের করতে পারে না সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ীদের ধরাশায়ী করছেন। শুধু মাদক ব্যবসায়ীই নয় সব ধরনের অপরাধীদের ধরাশায়ী করে অপরাধীদের মনে ভীতের সঞ্চার করে স্থানীদের ব্যপক প্রসংশা কুড়িয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের যদি সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করা যায় তবে খুব দ্রুত পল্লবী এলাকাকে মাদক মুক্ত করা সম্ভব। গেলো কয়েক মাসে পল্লবী এলাকায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি একাধিক হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধী মূলক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং সে অপরাধের সাথে যুক্ত অনেককেই সেনাবাহিনীর অভিযানে ধরাশায়ী হতে হয়েছে। তবে সেনা অভিযানে সবচেয়ে বেশি ভাটা পড়েছে মাদক ব্যবসায়। মাদক ব্যবসায়ী শাহিনুর, রেহেনা ও খাদিজা আক্তর খদের মতো বড় বড় পাইকারী মাদক ব্যবসাীয়রা ধরাশায়ী হচ্ছে যৌথবাহিনীর এই অভিযানে।

ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের মদদের অভিযোগ রয়েছে পল্লবী এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে। অনেকেই আবার পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক কামাল বলেন, খালি মাদক কেন কোন অন্যায় কর্মকান্ডের সাথে বিএনপি’র কারো যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। মাদকের সাথে কেউ পরোক্ষভাবে বা মাদক ব্যবসায়ীদের মদদে যেই যুক্ত থাকুক সে যদি আমিও হই সেটাও আপনারা স্বাধীনভাবে লিখে প্রশাসনকে সহায়তা করুন তা নির্মূল করতে। আমাদের দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশ বিএনপি’র কেউ কোন অন্যায় অপরাধের সাথে যুক্ত থাকতে পারবে না। এ বিষয়ে পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজ¦ী নুর সালাম বলেন, আমাদের যুবদলের কেউ মাদক ব্যবসায়ীদের মদদের সাথে জড়িত নেই বা কেউ পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত নেই। আমরা যুবদলের কাউকে কোন ধরনের মাদকের সাথে সংপৃক্ততা পেলেই সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ আইনের কাছে সর্পদ করে দেই।